উত্তর কোরিয়ায় গত তিন দিনে আট লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ রোববার উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে ‘জ্বরে’ ১৫ জন মারা গেছেন। খবর বিবিসির।
মাত্র তিন দিনের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আট লাখ ২০ হাজার ৬২০ জন।এদের মধ্যে তিন লাখ ২৪ হাজার ৫৫০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মৃত্যু
পরিস্থিতি সামাল দিতে গত বৃহস্পতিবারই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে শীর্ষ নতা কিম জং উনের প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার কোভিডে প্রথম মৃত্যু ঘিরে উত্তর কোরিয়ার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। তবে এ মুহূর্তে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের চিন্তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে সংক্রমিতের সংখ্যার চাপ।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিনে সব মিলিয়ে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায় এবং মাত্র তিন দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৮ লাখ ২০ হাজার ৬২০।
উত্তর কোরিয়ায় গত বুধবার সরকারিভাবে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করার পর দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে এক টিভি ভাষণে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরতে দেখা যায়। কিম জং উন করোনার এ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করছেন।
তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি ভাষ্যে বুধবার প্রথমবারের মতো কোভিড রোগী শনাক্তের কথা বলা হলেও দেশটিতে অনেক দিন থেকেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে লকডাউন জারি করা হয়। এদিনই করোনায় দেশটিকে ৬ জন মারা যান।
শুক্রবার করোনার উপসর্গ নিয়ে নতুন করে আরও ২১ জন মারা যান বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। শনিবার মারা গেছে আরও ১৫ জন। এ নিয়ে গত তিন দিনেই করোনায় মারা গেল ৪২ জন।
বিবিসি বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে নাজুক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি উত্তর কোরিয়ার। দেশটিতে করোনার টিকা, ভাইরাসবিরোধী ওষুধ ও গণহারে পরীক্ষার সক্ষমতা নেই। নিজেদের জনগণকে উত্তর কোরিয়া কোনো কোভিড-১৯ টিকা দেয়নি। চীনের তৈরি সিনোভ্যাক টিকা এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও দেশটি উভয়ই প্রত্যাখ্যান করেছে।এখন আবার সাহায্য ও টিকা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং ও সিউল।